এবার দীর্ঘ দাবদাহের পর চারদিকে ঘোর অন্ধকার হয়ে স্বস্তির বৃষ্টি এলেও হঠাৎ কালবৈশাখী ও বজ্রপাতের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জনজীবন। সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার পর প্রবল বেগে শুরু হয় বর্ষণ। সঙ্গে কালবৈশাখী। বজ্রপাত ও ঝড়ো বাতাসে অন্ধকার নেমে আসে পুরো শহরে।
মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মানুষের চলাচল। কোথাও কোথাও গাছপালা ভেঙে পড়ে। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবনে বৃষ্টিতে স্বস্তি নামলেও বাড়ে ভোগান্তি। ব্যাহত হয় যান চলাচল। আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকাসহ কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমে যায়।
এদিকে, দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামসহ দেশের সাত অঞ্চলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে অস্থায়ীভাবে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।